শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

খেলা | Igor Stimac: কল্যাণ চৌবে সরে গেলে তবেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হতে পারে, বিস্ফোরক স্টিমাচ

Sampurna Chakraborty | ২১ জুন ২০২৪ ১৭ : ৪০Sampurna Chakraborty


আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনদিন আগেই ইগর স্টিমাচকে ছাঁটাই করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। পরের দিনই আইনের সাহায্য নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। শুক্রবার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন বিদায়ী কোচ। উগড়ে দিলেন যাবতীয় ক্ষোভ। সরাসরি ফেডারেশনের সভাপতিকে আক্রমণ করেন। কল্যাণ চৌবেকে মিথ্যাবাদী বলেন স্টিমাচ। তাঁর কর্মক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়ে দেন, ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি নিয়ে ভাবে না। তাঁদের ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও কোনও ক্ষমতা নেই। দিনের পর দিন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লোভে পদ আঁকড়ে পড়ে আছেন কর্তারা। বিশেষ করে ফেডারেশন সভাপতির দিকে আঙুল তোলেন। দাবি, কল্যাণ চৌবে যতদিন ফেডারেশন‌ সভাপতির পদে থাকবে, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির সম্ভাবনা নেই। একমাত্র তিনি সরে গেলেই ভাল কিছুর আশা থাকবে। শুক্রবার দুপুরে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে ভার্চুয়ালি ম্যারাথন সাংবাদিক সম্মেলন করেন ইগর স্টিমাচ‌। সেখানে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। স্টিমাচ বলেন, 'গত বছর ২৬ জুলাই আমাকে জানানো হয়, জাতীয় দলকে সবরকমের সাহায্য করবে ফেডারেশন। ওদের বিশ্বাস করা আমার ভুল হয়েছে। ওদের ফেডারেশন চালানোর সময় নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটা ক্লিক পেল এবং প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তোলাই কল্যাণ চৌবের একমাত্র কাজ। ও বলছে, কোচরা অজুহাত দেয়। কিন্তু আমি বাস্তবটাই বলছি। কল্যাণ, তুমি মিথ্যে কথা বলছ। তোমাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। কল্যাণ ফেডারেশন ছাড়ার পর ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সবাই ভাবে ওর রাজনৈতিক ব্যাক আপ আছে। কিন্তু ওর হাতে রাজনৈতিক কোনও ক্ষমতা নেই। কেউ ওকে চেনেও না। শুধু সঙ্গে গার্ড নিয়ে ঘোরার সময় হয়তো লোকের নজরে পড়বে। মানুষ ওর বিষয়ে জানতে চাইবে। ভারতীয় ফুটবলের একজন ক্ষমতাশালী এবং প্রভাবশালী কর্তা দরকার। আমার সঙ্গে কল্যাণের কোনওদিন কোনও সম্পর্কই ছিল না। জানি ফেডারেশনের সচিব এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সঙ্গেই আমার বেশি যোগাযোগ থাকার কথা। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সঙ্গে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে দেখা হয়েছিল কল্যাণের। তিন মিনিটের মধ্যে পাঁচবার নিজের ঘড়ি দেখে। সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম ভারতীয় ফুটবল বা কোচ নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। সাফ ফাইনালের পর আমার অনুরোধে সভাপতির সঙ্গে একটা বৈঠক হয়। তারপর কলকাতায় একটি স্পোর্টস কনক্লেভের পর সেই হোটেলেই কথা হয়। জিজ্ঞেস করে, ও আমাদের কীভাবে সাহায্য করতে পারে। আমি জানাই, গত ছয় মাস ধরে অনেক কিছুই আটকে আছে। আবার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বলা হয়, অবিলম্বে হয়ে যাবে। যা আজও হয়নি। কীভাবে ফেডারেশন চালাতে হয়, সেই বিষয়ে ওদের কোনও ধারণাই নেই। শুধু ক্ষমতা খাটাচ্ছে। নিজেদের গদি আঁকড়ে পড়ে থাকার জন্য বাকিদের ঘাড়ে দোষ চাপানো ওদের কাজ। গত পাঁচ বছরে ফেডারেশনের সেরা সাফল্য, আমার মুখ বন্ধ রাখা।' 

ভারতীয় দলের সাফল্য না পাওয়ার পেছনেও ফেডারেশনকেই দায়ী করেন বিশ্বকাপার। জানান, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই কিংস কাপ, মারডেকা কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। এমনকী আগামী জুলাইয়ে হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ খেলার বিষয়েও তাঁর সম্মতি চাওয়া হয়। এছাড়াও মারাত্মক অভিযোগ আনেন স্টিমাচ। দাবি করেন, তাঁর দেওয়া প্লেয়ার তালিকাও বদলে দিত ফেডারেশন। তরুণদের নিয়ে দল গড়ার চেষ্টা করলেও, সিনিয়রদের নেওয়ার চাপ দেওয়া হত। স্টিমাচ বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমাকে সত্য ফোন করে বলল, আমাদের জুলাইয়ে হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ খেলতে হবে। ওদের ফুটবল সম্বন্ধে কোনও ধারণাই নেই। আইএসএল ক্লাবগুলো ৫-১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করে। ফিফা উইন্ডোর বাইরে টুর্নামেন্ট খেললে নিজেদের আবাসিক শিবিরের মাঝে কোনও দলই প্লেয়ার ছাড়তে চাইবে না। আমার সঙ্গে কথা না বলেই কিংস কাপ, মারডেকা কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেডারেশন। আমি ফিফা উইন্ডোতে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। আমি যে প্লেয়ারদের তালিকা দিয়েছিলাম সেটা বদলে দেওয়া হয়। আমি তরুণদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। কারণ সেটা ওদের জনক আদর্শ মঞ্চ হত। কিন্তু সিনিয়র প্লেয়ার নিতে বাধ্য করা হয়।' ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির দিকেও আঙুল তোলেন বিদায়ী কোচ। জানান, আইএম বিজয়ন দুর্দান্ত ফুটবলার হলেও, টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য নয়। পাশাপাশি দাবি করেন, একাধিকবার তিনি টেকনিক্যাল কমিটির একজন প্রতিনিধিকে দলের সঙ্গে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও, কর্ণপাত করা হয়নি। ফেডারেশনের কেউই দলের সঙ্গে থাকত না। 

স্টিমাচের দাবি, অনেকদিন আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। নিজের আইনজীবীকে কাগজপত্র তৈরি করার নির্দেশও দেন। কিন্তু ফুটবল হাউস থেকে সহ সভাপতি হ্যারিস ফোন করে চুক্তি বাড়ানোর কথা জানান। ক্রোয়েশিয়ান কোচ জানান, বাড়তি কিছু চাননি তিনি। শুধুমাত্র তাঁর কোচিং স্টাফেরও চুক্তি বাড়ানোর কথা বলেন। এদিনের ম্যারাথন সাংবাদিক বৈঠকে স্টিমাচ জানান, পরিকাঠামোর দিক থেকেও পিছিয়ে ছিল ফেডারেশন। এফসি গোয়ার থেকে ধার করা টেকনোলজি ব্যবহার করা হত। সুনীল ছেত্রী‌ মার্চে তাঁকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় নাকি ভারতীয় কোচের পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। তৎকালীন ভারত অধিনায়ককে জানান, তিনিও আর বেশিদিন নেই। স্টিমাচের দাবি, বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেও নাকি তিনি পদত্যাগ করতেন। কারণ ফেডারেশনের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে ছাঁটাই করার পর ফেডারেশনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে চলে যান ইগর স্টিমাচ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সমঝোতার আর কোনও জায়গা নেই। ২০২৬ জুলাই পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি আছে ফেডারেশনের। পুরো বেতনই চান তিনি। তবে ক্রোয়েশিয়ান কোচের দাবি, বিষয়টা দু'পক্ষের মধ্যে ভালভাবেই হতে পারত। কিন্তু ফেডারেশনের হঠকারিতা এবং তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি জটিল করে দেয়। স্টিমাচ বলেন, 'আমাকে একদিন সত্য ফোন করে জিজ্ঞেস করে, তোমাকে তিন মাসের বেতন দিয়ে দিলে কি তুমি কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবে? আমি ওকে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করি। বলি, সামনে জাতীয় দলের কোনও খেলা নেই। একইসঙ্গে জানাই, আমার দু'জায়গায় কথা চলছে। মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। সেক্ষেত্রে হয়তো বাড়তি এক মাসের বেতন দিলেই হয়ে যেত, তিন মাসেরও দিতে হত না। পাশাপাশি জানাই, তার আগে করতে চাইলে ব্যর্থতার দায় সবাইকে নিতে হবে। পরের দিন বরখাস্ত করার চিঠি পাই। এবার ওদের আমাকে পুরো টাকাটাই দিতে হবে।' স্টিমাচ মনে করেন, ফেডারেশন এইভাবে চললে আগামী ২০ বছরেও ভারতীয় ফুটবলের কোনও উন্নতি হবে না। আইএসএলের কিছু ভাল দিক থাকলেও, চোখে আঙুল দিয়ে খারাপ দিকগুলো দেখিয়ে দেন স্টিমাচ।‌ জানান, কোনও কর্পোরেট সংস্থার হাতে দেশের একনম্বর ফুটবল লিগের দায়ভার থাকতে পারে না। এটা চালানোর দায়িত্ব সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। একইসঙ্গে প্রমোশন এবং রেলিগেশন শুরু করার দাবি জানান। পাশাপাশি মরশুম শুরুতে নির্দিষ্ট ফুটবল ক্যালেন্ডার করার ওপরে জোর দেন ভারতীয় ফুটবল দলের বিদায়ী কোচ। 




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

রোহিত-বিরাটের উইকেট পেয়েও নেই কোনও বাড়তি সেলিব্রেশন, রহস্য ফাঁস হাসানের ...

মিনি ডার্বি জিতলেই খেতাব প্রায় নিশ্চিত ইস্টবেঙ্গলের...

মাঠে নামতে আর বাধা নেই, কেরালার বিরুদ্ধেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে আনোয়ারকে...

তারকাদের ব্যর্থতার দিনে অশ্বিনের শতরানের রহস্য কী? ...

টেস্ট শুরুর আগে কুলদীপকে অপহরণ? দুই তারকা ক্রিকেটারের ভিডিও ভাইরাল...

মোলিনাকে গো ব্যাক স্লোগান! পা দিয়ে রক্ত পড়ছিল, রেফারিং নিয়ে কী বললেন দিমিত্রি?...

একাধিক সুযোগ নষ্ট দিমিত্রিদের, এসিএলের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান...

ক্যান্সার কেড়ে নিল তারকাকে, বিশ্বফুটবলের নক্ষত্র সময়ের আগেই হারিয়ে গেলেন চিরতরে ...

পদ্মাপারে ক্রিকেট নিয়ে নেই উত্তাপ! ভারতে শেখ হাসিনা? প্রশ্ন নিয়েই ভারত জয় করতে মরিয়া বাংলাদেশ ...

ইউ টার্ন না পসন্দ, নিজের কোন সিদ্ধান্ত বদল করবেন না রোহিত? ...

দুই পেসার, তিন স্পিনার? কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশ?...

মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে বাড়ল পুরস্কার মূল্য, কত টাকা পাবেন স্মৃতি-হরমনপ্রীতরা?...

টেস্টের প্রস্তুতির মাঝেই জন্মদিনের উৎসবে মাতলেন রোহিত-কোহলিরা...

ওদের মজা নিতে দিন, সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদ্রুপ রোহিতের...

রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা নয়, গম্ভীর এবং নতুন স্টাফ নিয়ে কী বললেন রোহিত? ...



সোশ্যাল মিডিয়া



06 24